পাসপোর্টের আবেদন ও ফি প্রদান করার পদ্ধতি

পাসপোর্টের আবেদন করার ও ফি প্রদান করা পদ্ধতি আমরা অনেকেই জানিনা। পাসপোর্ট এর আবেদন করতে গেলে আমরা অনেকেই আবেদন, ফি ও পাসপোর্ট পাওয়ার সঠিক ধারণা না থাকায় একটু চিন্তা বা ঝামেলায় পড়ে যাই। আমরা অনেকে শুরুতেই দালালের সহায়তা খুজতে থাকি। আর এই সুযোগে দালাল হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। তবে আমি ব্যক্তিগহভাবে মনে করি পাসপোর্ট করতে গেলে দালাল না ধরে সরাসরি নিজেই আবেদন সম্পন্ন করা ভালো। পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করে যথাসময়ে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রদান করে একটু অপেক্ষা করলে যথাসময়ে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন আশা করি।

বাংলাদেশে বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চলমান। আসুন জেনে নেই কিভাবে পাসপোর্টের আবেদন করতে হয়।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের আবেদনঃ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট পেতে হলে প্রথমে অনলাইনে মেশিন রিডেবল (এমআরপি) পাসপোর্ট আবেদন করতে হবে। এ জন্য প্রথমে ইন্টারনেট এর যে কোন ব্রাউজার ওপেন করে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট লিখে অথবা http://www.passport.gov.bd/ এই লিংক এ ক্লিক করলে নিচের এই পেজটি ওপেন হবে।

পাসপোর্টের আবেদন ও ফি প্রদান করার পদ্ধতি
পাসপোর্ট (Passport)


এই পেজটি ওপেন হলে একট্র  স্ক্রল ডাউন করলে



চিহ্নিত অংশে I have read the above information and the relevant guidance notes অংশ টিক দিয়ে Continute to Online Enrolment এ ক্লিক দিলে পাসপোর্টের আবেদন পেজটি ওপেন হবে।


 

 

এরপর যাবতীয় তথ্য প্রদান করে সাবমটি করতে হবে।

পাসপোর্টের ফি প্রদানঃ সোনালী ব্যাংক ছাড়াও আরো পাঁচটি ব্যাংকে পাসপোর্টের ফি জমা নেওয়া হয়। ব্যাকগুলো হলোঃ ওয়ান ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক।

এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন করতে গেলে প্রথমেই পাসপোর্টের ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে পে স্লিপ নিয়ে নিতে হবে।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ফি এর হারঃ-



 

ই-পাসপোর্ট

বর্তমানে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ই পাসপোর্টে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ইমিগ্রেশনও সহজ হয় যদি ই-পাসপোর্ট থাকে। ই-পাসপোর্টের আবেদন অনলাইনে করতে হয়।

ই-পাসপোর্টের আবেদনঃ ই-পাসপোর্টের আবেদন অনলাইনে করতে হবে। এজন্য ইন্টারনেট ব্রাউজারে ই-পাসপোর্ট লিখে অথবা https://www.epassport.gov.bd/ লিংকে ক্লিক করলে নিচের এই পেজটি ওপেন হবে।

 


উপরোক্ত পেজটি ওপেন হলে প্রথমে ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে ই-পাসপোর্ট সাইটে সাইনআপ করে নিতে হবে। আমরা অনেকেই দোকানদারের সাইনআপ করা মেইল ব্যবহার করে পাসপোর্টের আবেদন করে থাকি। যা মোটেও ঠিক না। এজন্য নিজের ইমেইল আইডি ব্যবহার করে সাইনআপ করা উত্তম। কারণ পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় নোটিফিকেশন বা কল সাইন আপ করা মেইল বা ফোন নম্বরে যাবে।

যাইহোক সাইন আপ করার পর যাবতীয় তথ্য প্রদান করে নির্ধারিত ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি প্রদান করা যাবে।

ই-পাসপোর্টের ফি এর হারঃ-  05 বছরের জন্য 48 পাতার পাসপোর্ট করতে ফি প্রদান করতে হবে 4025/-

পাসপোর্ট ফি এর হার

ই- পাসপোর্ট

পাতা সংখ্যা

মেয়াদ

ধরণ

প্রদানের সময় সীমা (কার্যদিবস)

পরিমান (টাকা)

48

5 বছর

সাধারণ

15-21 কার্য দিবস

4,025/-

দ্রুত

7-10 কার্য দিবস

6,325/-

খুব দ্রুত

2 কার্য দিবস

8,625/-

10 বছর

সাধারণ

15-21 কার্য দিবস

5,750/-

দ্রুত

7-10 কার্য দিবস

8,050/-

খুব দ্রুত

2 কার্য দিবস

10,350/-

64

5 বছর

সাধারণ

15-21 কার্য দিবস

6,325/-

দ্রুত

7-10 কার্য দিবস

8,625/-

খুব দ্রুত

2 কার্য দিবস

12,075/-

 

10 বছর

সাধারণ

15-21 কার্য দিবস

8,050/-

দ্রুত

7-10 কার্য দিবস

10,350/-

খুব দ্রুত

2 কার্য দিবস

13,800/-

এমআরপি (মেশিন রিডেবল) পাসপোর্ট

 

 

সাধারণ

21 কার্য দিবস

3450/-

 

 

দ্রুত

7 কার্য দিবস

6900/-

 

উপরোক্ত নিয়ম ফলো করে আপনি পাসপোর্টের আবেদন করতে পারেন। এছাড়া পাসপোর্টের আবেদন সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য কমেন্টেস এ লিখতে পারেন। ধন্যবাদ।

 


1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post