উদঘাটনঃ
ফাঁদে পেলে বিক্রি। চেতনা নাশক খাইয়ে যৌন পল্লিতে বিক্রি। জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি আছেন একটি অন্ধকার রুমে। ঠিক এমন ই ঘটনার তথ্য এসেছে পিবিআই এর একটি নালিশি প্রতিবেদনের তদন্তে।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক নারীকে বিয়ে করেন চুয়াডাঙ্গার এক ব্যক্তি (34)। এরপর স্ত্রীকে ঢাকায় নেওয়ার পথে চেতনানাশক খাইয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন। বাসের মধ্যে চেতনানাশক খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। যখন জ্ঞান ফিরে তখন তিনি দেখতে পান অন্ধকার ঘরে বন্দী। তারপর কৌশলে আড়াই মাস পরে যৌন পল্লি থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন ঐ ভুক্তভোগী নারী।
পিবিআই এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায় অভিযোগ উঠা ব্যক্তি ও ভুক্তভোগী নারী একসাথে কাজ করতেন। উক্ত ব্যক্তি তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করেন। ভুক্তভোগী নারীর পূর্বে একটি বিয়ে হয়েছিল তা তিনি জানতেন। এরপর গত বছরের মে মাসে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী জানতে পারেন যে তার স্বামীর আগের একটি সংসার রয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ অবস্থায় প্রতারণার ফাঁদ পাতেন ওই ব্যক্তি। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিবেন বলে 30000/- টাকা নেন। এর একমাস পর ঐ যুবক জানান প্রথম স্ত্রী মামলা করেছে। মামলা চালাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই ভুক্তভোগী স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা পোশাক কারখানায় চাকুরী করবে। তাই গত বছরের আগষ্টে ঢাকার দিকে রওনা দেন। পথে বাসে চেতনা নাশক খাইয়ে যৌন পল্লিতে বিক্রি করে পালিয়ে যান ঐ ব্যক্তি।
যৌন পল্লি থেকে যেভাবে বের হলেনঃ আড়াই মাস পর যৌন পল্লি থেকে বের হয়ে আসা ওই নারী জনান, তিনি যেই ঘরে বন্দী ছিলেন সে ঘরের বাইরে 111 লিখা ছিল। পরদিন সেখানকার সর্দার এসে তাকে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক করার চাপ দিচ্ছিল। তিনি রাজি না হওয়ায় লাঠি দিয়ে মারধর, অত্যাচার ও আগুনের চ্যাকা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ইনজেকশন দিয়ে তাকে বিভিন্ন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয়।
গত 15 নভেম্বর তিনি পাঁচনারীর সাথে বাহিরে রূপ চর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পান। রূপ চর্চার জন্য তাকে 250 টাকা দেওয়া হয়। রূপ চর্চা কেন্দ্রে 02জন প্রবেশের পর তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। রূপ চর্চার জন্য দেওয়া 250/- বাস ভাড়া দিয়ে বাড়ি চলে আসেন এবং লোক লজ্জার ভয়ে তিনি বিষয়টি চেপে যান।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, মহিলার স্বামী পলাতক রয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো, অনলাইন নিউজ, 18/05/2023।