ভালো লাগছিলোনা, ঘুমও আসছে না। সবাই নিষেধ করে রাত জাগা থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু রাত জেগে থাকা যে আমার নেশা হয়ে গেছে। তারপরও নিজের উপর জোর করে ঘুমিয়ে পড়লাম। কিন্তু বেশিক্ষণ আর ঘুমাতেও পারলাম না। রাতের আকাশে চাদ যখন জ্বলে উঠল স্বীয় জোছনায়, তখনি পৃথিবীর বুকে শীতের কুয়াশা ঢেকে দিতে শুরু করলো। আমার এমন রাতে ঘুমানোর অভ্যাস কম, চাঁদকে সঙ্গ দেওয়া ছাড়া কি থাকা যায়! ও তো আমার বন্ধু হয়ে গেছে। দু’ঘন্টা চেষ্ঠার পরও ঘুম আসছে না। উঠতেও চাইনি চেষ্ঠা করলাম শুয়ে থাকতে, কিন্তু ঘুম যে আমার চোখে না ধরে বিছানার উপর যন্ত্রনার হাতিয়ার হয়ে দাড়িয়েছে।ঘুম ছাড়া এই গাঢ অন্ধকারে রুমের ভিতর শুয়ে থাকতে যন্ত্রনার মতই অনুভব হচ্ছে। এবার অনেকটা বাধ্য হয়ে উঠিই কলপাড়ে চলে এলাম। চোখ দুটি শিতল পানি দিয়ে ধুতে গিয়ে ইচ্ছে হলো একটু নামাজ আদায় করে নিতে। তাই নামাযের অযু করে নামাযটা আদায় করে নিলাম। কিন্তু এখনো চোখে ঘুমের উকি নেই, বিছানায়ও যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।তাই শান্ত রাত্রির বুকে শীতের আগমনের ভাব বুঝতে আর রাতের আলোকে সঙ্গ দিতেই বাহিরে একটি চেয়ার নিয়ে বসে পড়লাম। কি সুন্দর চাদের আলো, সারাটি মাস এমন থাকতে পারে না? হয়ত থাকলে জোছনার রূপটা মূল্যায়িত হবে না তাই হয়তো মাঝে মাঝে এসে উকি দিয়ে তার সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যমে তার অনুপস্থিতি অনুধাবনের চেষ্ঠা করে। এমন রাত্রিগুলো উপভোগ করতে ভালোই লাগে। পৃথিবীর সব কোলাহল শান্ত হয়ে যায়, দিনের ক্লান্ত কাকগুলোও বিশ্রাম নেয়, রাস্তার পাশের ল্যামপোষ্ট এর বাতিগুলো এক জ্বলে জ্বলে আলো দিয়ে যায়। এমন একটা শান্ত পরিবেশে একা বসে থেকে চাদের আলো উপভোগ করতে ভালো লাগে। এই শান্ত সময়ে মনের গহিন থেকে ভেসে উঠে কিছু অবাক অবাক ভাবনাগুলো, ভেসে উঠে অবাক করা সেই চরিত্রগুলো যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের মাঝে ফুটে উঠে, ভেসে উঠে এই ক্ষনস্থায়ী পৃথিবীর মাঝেও মানুষের অবাক অদ্ভূত কান্ডগুলো। জানিনা মানুষ এতটা অদ্ভূত হয় কিভাবে? এই রহস্যঘেরা পৃথিবীতে নিজেদের ক্ষনস্থায়ী অবস্থানকে সরল পথে না নিয়ে নিজেদের রহস্যময়ী করে তোলে কেন!
আজকাল তানিনকে খুব মনে
পড়ছে।
ও
আমার শুধু বন্ধু, তাই অন্যকিছু মনে না করাই শ্রেয়। ওর কন্টাক্ট নম্বরটা অনেক খুজেছি, কিন্তু কোথাও পাইনি। ওর কান্ডগুলো আমার অবাক
লেগেছে। ওর মানষিকতাটাও আমাকে অবাক করেছে। আমি বুঝিনা কেন ওর মাঝে এতটা অবাক
মানষিকতা আসে। কেন সরলতা ছেড়ে নিজে অদ্ভুত মানষিকতায়
জড়িয়ে রাখে। ও এতে কি সুখ পায় জানি না। আমি ওকে ভেবেও কোন উত্তর পাইনি। তবে
পেয়েছিও বটে। ওর পৃথিবী জীবনটা আমার কাছে অসহায়ের মত লেগেছিল। যার মা নেই, বাবা নেই। থাকলেও নেই। ও কখনো ওর বাবা-মায়ের
মুখ দেখেনি। উনারা জীবিত থাকলেও দেখেনি।বাবা-মা পরিচয়হীন
মেয়েটা বড় হয়েছে জাপান সাকুরা সংস্থায়। ওখানে ওদের কোন অভাব বুঝতে দেয়নি। গাড়ি
দিয়ে স্কুল থেকে আনা-নেওয়া। ওদের বিনোদনে গানের শিক্ষক সহ সব ছিল। তবে একটা সময় এই
পরিচয়হীন মেয়েটিকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরই ঐ সংস্থা ছাড়তে হবে। তাই তার জন্য আমি
মনে করি স্থায়ী একটি আবাসস্থল দরকার। তা ও পেয়েও ছিল। কিন্তু অদ্ভূত হয়েছি এমন
পরিস্থিতিতে ওর অদ্ভূত কান্ড দেখে। আর এই অদ্ভূত কান্ড ঘটানোর মানষিকতার ভারী রূপ
নেয় হয়তো ও অনেক আকর্ষনীয় বলেই। এমন মা-বাবা পরিচয়হীনকে কোন ছেলেই ঘরে তুলবে? তারপরও এগিয়ে এসেছিল আমার কিছু বন্ধু(ফারুক,
শাহাদত)। যারা ছিল যথেষ্ট শিক্ষিত, অর্থশালীও ছিলো তাদের কেউ কেউ। এরা হয়তো এই
মেয়েটিকে গ্রহণ করতে নিজ পরিবারে অনেক লড়াই করতে হবে। তারপরও ওর অসহায়ত্ব আর
আকর্ষনকে সঠিক মর্ঝাদা দিতেই ওরা এমন দুঃসাহস ভাবনা ভেবেছিল। চেষ্ঠাও করেছিল।
কিন্তু তানিন ওদের এমন ভাবনাগুলোকে অপমানই করেছিল বলতে পারি। এতে হয়তে বন্ধুদের ক্ষতি
হয়নি। তবে সবাই আফসোস করেছে ওর অদ্ভূত কান্ড দেখে।ওর জন্য আমাদের অনেক
খারাপও লেগেছিলো।
আফসোসটা ছিল এ জন্যই যে ও অনেক আকর্ষনীয়
একটা মেয়ে ছিল। আর এমন আকর্ষনীয় স্মার্ট মেয়েটির মানষিকতা এতটা বখাটে আর নোংরা হয়
তা দেখে। মেনে নিতে পারেনি কেউ। যথেষ্ট চেষ্ঠা করেছিল আমার বন্ধুরা। ওর মাঝে মনেহয়
অহংঙ্কার বোধটা জন্ম নিয়েছে। ও আমার এই বন্ধুগুলোর সামনে সারাক্ষন মোবাইল কানে
দিয়ে অজানা কিছু ছেলেদের সাথে কথা বলতো। মাঝে মাঝে ওদের সাথে লংড্রাইভে যেত।
কিন্তু কিছুদিন পর আর তারা থাকতো না। ওরা ওকে মোবাইল দিত। আর ও ভেবেনিত যে ওরা ওকে
অনেক ভালবাসে। আসলে ওরা মধুচোরা। মধুপেলে আর বেশি এগুতে চায়নি। তাই কদিন পর পর ওর
নতুন নতুন ছেলে! একদিন আমায় ও ডেকে দেখাল রাস্তার মাঝে অপেক্ষমান একটি ছেলে বাইক
নিয়ে দাড়িয়ে আছে। কতক্ষন পর ওকে দেখলাম সেই বাইকের পিছনে উঠলো। ছেলেটি হয়তো এই
মহুর্তটি খুব উপভোক করলো। উঠতি বয়সী একটা মেয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে থাকলে
অন্যরকম সুখ উপভোগ হয়। হয়তো এই জন্যই ছেলেটি তানিনের পিছনে লেগে থাকে। কিন্তু
ছেলেটিও বেশি দূর গড়ায়নি। কিছুদিন পর বালিকা গানের মত ছেলেটি আর নেই। যখনই তানিন
ওদের কাছে তাকে স্থায়ী করার কথা বলতো তখনই ওরা আর তানিনকে পাত্তা দিত না। তাছাড়া
ওদের ও মধু সংগ্রহ ততদিনে শেষ।ওর তখন এস এস সি টেস্ট পরিক্ষা শেষ। মেয়েটি ফরম পূরণ
করলোই না। কি যে নিশা ওর মাঝে আসলো জানিনা। আমি বন্ধু হিসেবে ওকে যথেষ্ট অনুরোধ
করলাম। কিন্তু ও পরীক্ষা আর দিলোই না। আমার বন্ধুগুলোও ওর এমন কার্য-কলাপে ওর
প্রতি অসহায় আর ভালোবাসার পরিবর্তে ততদিনে ঘৃনা সৃষ্টি শুরু হলো।
তানিন এবার
বাহিরের ছেলেদের পরিবর্তে আমাদের খুব পরিচিত এক বখাটেকে পছন্দ করে বসলো। আমরা খুব
ভালো করেই জানতাম তানিন শুধু এখানে হারাবে, কিছুই পাবে না। ওকে বুঝালাম। কিন্তু এতে ও
আমাদের সকল বন্ধুদের এডিয়ে গেল। আমাদের কে ওর বাধা মনে হলো। আমাদের যাতায়াতের
রিজার্ভ বাস ছিলো। ও
একদিন ঐ ছেলেকে নিয়ে বাসে উঠলো, পিছনের সিটগুলো খালি ছিলো। ও একদম পিছনের সিট এ ঐ ছেলেকে নিয়ে বসলো। আমাদের
সকল বন্ধুদের মাঝে এক ধরনের কানাঘুষা সৃষ্টিহলো। আজ বুঝি ছেলেটি ভালোই মধু সংগ্রহ
করবে। হুম তাই ঘটেছিল। আমার সিটের বন্ধুটি আমায় খোচা দিয়ে বলল দেখতো তানিন কি করে? বল্লাম তোর স্বপ্নের মানুষ সুতরাং তুই ই দেখ। ও
একবার তাকিয়ে বলল ওতো ছেলেটিকে জড়িয়ে আছে। আমি একবার উঠে দাড়িয়ে কৌতহলী দৃষ্টিতে
একবার তানিনের দিকে তাকালাম। তখন ছেলেটি তানিনের ভেজা গালটি ওর ওড়না দিয়ে মুছতেছে।
তানিনকেও খুব খুশি খুশি লাগছে। ছেলেটি কিছুক্ষন পর নেমে পড়ল। কিন্তু কিছুদিন পর
দেখলাম তানিনের বিপরীত চিত্র। আমরা হাটতেছি। কিন্তু তানিন দৌড়ে এলো, তবে আজ ভিন্ন চিত্র। সেই মধু নেওয়া ছেলেটি
এবার আর তানিনকে ছাড়ছেনা। তাই ও ওদের থেকে রক্ষা পেতে দৌড়ে এসে আমাদের কাছে আশ্রয়
নিতো। আমরা প্রথম প্রথম ওকে এড়িয়ে গেলেও একটা সময় আমদের আশ্রয়েই রাখতাম। ছেলেটিকে
সাবধান করায় ওরা আর পরে ওকে বিরক্ত করেনি।
গেল কিছুদিন, যেই তানিন সেই তানিন। আমাদের পরিচিত আরেকটা
ছেলের সাথে নতুন করে। তবে তা খুব গোপনে। কিন্তু সত্যযে লুকিয়ে থাকে না এটা শুধু
নির্বোধরাই বিশ্বাস করতে চায় না। একদিন ও পথিমধ্যে বাস থেকে নেমে পড়লো, বললো থিয়েটারে যাবে।ঐদিন কর্মস্থলে ঐ ছেলেটিও
নেই। আমাদের বুঝতে বাকি ছিলো না। পরে ঠিকই জানতে পারলাম ঐ ছেলেটির সাথেই বাহির
হয়েছিল। ছেলেটি কুমতলবি। তাই সহজে তানিনকে ছেড়ে দিবে মনে হয়নি। পরদিন ওর হাতে নিউ
মোবাইল দেখেছিলাম। পরে ও স্বীকার করলো ঐ ছেলেটি দিয়েছে। এতদিনে ও আমাদের সকল
বন্ধুর মাঝে ঘৃনার পাত্র হয়ে গেল। বাস দিয়ে যাওয়ার সময় ওকে উদ্দেশ্য করে সবাই
হাসাহাসি করতে ছিল। ও প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঐ দিন সবার হাতে অপমান হয়েছিল। বন্ধুদের
দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আজ ওর উপর ছেড়ে দিল। ও যথেষ্ট কেদেছিল। এক মাত্র আমিই ছিলাম যে
ওকে কিছু্ই বলিনি। তাই হয়তো এ জন্যই বুঝি ও আমায় ডেকিছিল। অামি ওর কাছে গেলাম। ওকে
কান্না থামাতে বললাম। কিন্তু এত অপমানের ভিড়ে আমার সামান্য সান্তনায় কান্না না
থামলেও কিছুটা কমে এসেছিলো। আমার কাছে ওর আজকের কষ্ট প্রকাশ করেছিলো। আমি ওকে
যথেষ্ট সান্তনা দিয়ে বাস থেকে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দিলাম। বাসায় এসে খুব খারাপ
লাগলো। ওর কান্না করার চিত্রটি আমার অনেক খারাপ লেগেছিল। কারন ও চারিত্রিক যাইহোক
কিন্তু অামার অনেক ভালো বন্ধু। পরদিন ও আসে নাই। তার পরদিন এসেছিল। জেনেছিলাম ও
বাসায় যথেষ্ট আপসেট ছিল। আমাদের ততদিনে কোর্সও শেষ। আছে আর তিন দিন। আমি আজ ওকে
সময় দিলাম। ওকে বললাম তোমার ভিতরে এমন খারাপ মানষিকতা কেন? কদিন পর পর একটার পর একটা ছেলে! ও বললো, ‘আসলে আমার এমন পরিস্থিতিতে স্থায়ীভাকে কাউকে
পেতে ছেয়েছি। প্রত্যেকের মাঝে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি। কিন্তু বিয়ের প্রশ্নে কেউ রাজি
হতে চায়নি’। ছেলে জাতির উপর তার আস্থা উঠে গেছে। ও যথেষ্ট হতাশ হয়েগিয়েছিল। অনেকটা
পাগলের মতন হয়েগিয়ে ছিলো। আমাদের কোর্সের শেষদিন ও আসে নাই। এরপর আর ওর সাথে দেখা
হয়নি। কিছুদিন পর ওদের ওখানের একটা ছোট্ট মেয়ের কাছে জানতে পেরেছি ওখান থেকে গত 28 তারিখ বাহির হয়েগিয়েছিলো। তার ছয় মাস পর এক
বন্ধু জানালো তার বিয়ে হয়েছে টঙ্গী এলাকায়। আর সে খবরটা আমার সেই বন্ধুগুলো যারা
প্রকৃত অর্থে তাকে চেয়েছিলো তারা শুনে যথেষ্ট আফসোস ই করেছিলো। আমি বরাবর অবাক
হয়েছি তানিনের এই অদ্ভুত মানষিকতায়। ওর অসহায় পরিস্থিতিতে যারা প্রকৃত অর্থে ওর
পাশে দাড়াতে চেয়েছিল তাদের ত্যাগ করে বখাটেপনাকে বেছে নিয়েছিলো।আর একের পর এক ধোকা
খেয়ে হাতশ হয়ে শেষ ওর পাগলের মত পরিস্থিতি হয়ে গিয়েছিলো। শুধু অযথাই সরল পথ ছেড়ে
বক্রতা আর বখাটেপনাকেই বেছে নিলো। হয়তো ও তেমন ভালো পর্যায়ে যেতে পারেনি, পারলে আমাদের দেখিয়ে ঈর্ষা লাগাতো। তাই হয়তো মুখ দেখানোর ভয়ে অার সামনে আসেনি।
জানিনা ওর কি সারা জীবন এমন ভাবে কেটে যাবে! আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলো তানিন। তাই
তার ওমন জীবনটা আমার খারাপ লেগেছিলো।আসলে মেয়েরা হয়তো এমনই, যারা তাদের প্রকৃত ভালো চায় তাদের সাথে এমনই
করে, আর যারা
মধুখোর তাদের কাছে গিয়ে শুধু ক্ষনস্থায়ী অবস্থানে নিজেকে হারিয়ে আসে।
আকাশের
চাঁদটাও অনেক দূর গড়িয়েছে। আমার এবার একটু একটু ঘুম পাচ্ছে। দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস
ছেড়ে বলি তানিন শুধু নিজে বেশি বুঝতে গিয়ে তোমার অসহায় অনিশ্চিত জীবনে সুখের পথকে
ত্যাগ করে নোংরা জীবনটাই পেলে, অযথাই আদর্শহীন পথে গিয়ে হতাশ হয়ে পাগলের মতো হয়ে গিয়েছ। তোমার আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হয়ে সঠিক আদর্শে থাকলে আজ তোমার সার্টিফেকেট থাকতো, পড়ালেখায় থাকতে, সুন্দর একটি জীবন পেতে আমার সেই বন্ধুগুলো, ফারুক, শাহাদাৎ ওরা সত্যি তোমাকে চেয়েছিলো। তোমার
জন্য ওদের ফ্যামিলেতে ওদের অনেক লড়াইও করতো হতো। কিন্তু তুমি তাদের ত্যাগ করে
নোংরা আর নিজের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করেছ। হয়তো এখন ভূলগুলো বুঝতে পেরেছ তবে অনেক দেরী
করে ফেলেছ। তোমার ভাবনা, মানষিকতা
অদ্ভূত করেছে। এই রহস্যঘেরা পৃথিবীতে তোমার মানষিকতাও ছিলো রহস্যময়ী, কারণ তুমি যথেষ্ট উপযুক্ত ও স্মার্ট ছিলে।
অদ্ভূত ছিলো তোমার মানষিকতা।
লেখাঃ সজিব
লেখাঃ সজিব