আমাদের এই দেশটা একসময় শাষন করতেন হিন্দু রাজাগণ। আমাদের দেশের প্রায়ই স্থানের নাম হিন্দু নামের সাথে সামঞ্জস্য। এই দেশে মুসলিমদের আবির্ভাব ঘটে আরবহতে আসা বাদশা, সুলতান ও ইসলামপ্রচারক পীর ওলীদের মাধ্যমে। তারা এই হিন্দু দেশের মানুষকে ইসলাম শিক্ষায় দীক্ষিত করেন, আমাদেরকে তারাই ইসলাম শিখিয়েছেন। আমাদের পূর্বপুরুষদের কে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিমে রূপান্তর করা সহজ ছিল না। তাদের ভিতর সত্যিকারে ইসলাম ছিল বলেই তারা এই হিন্দুদেশকে মুসলিম দেশে রূপান্তরিত করতে পেরেছেন। আমাদের ভিতর ছিল হিন্দুয়ানি সভ্যতা, আর তা তারাই দূর করার নিয়ম শিখিয়েছেন। কিভাবে নামাজ পড়তে হবে, কি ভাবে ইবাদাত করতে হবে, কিভাবে চললে আল্লাহকে পাওয়া যাবে, রাসূল সাঃ কে পাওয়া যাবে। এসব ওলী-আউলিয়াগণ সারা রাত আল্লাহর ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন। তারা আল্লাহকে ভয় করতেন। তাদের ই অন্যতম হচ্ছেন খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী রহঃ, হযরত শাহ জালাল রহঃ, শাহ পতেহ আলী রহঃ, নূর মোহাম্মদ রহঃ, ফুরফুরা শরীফ, জৌনফুরী, শাহসূফী নেছার আহম্মদ। এছাড়া ও নাম না জানা অনেক ওলী-আউলিয়া। যারা গ্রাম, গঞ্জে গিয়ে খানকাহ তৈরী করে থেকে গিয়ে মানুষদের কে ইসলামারে পথে এনেছেন। তারা কোরআন ও হাদীশ শরীফ থেকে ই আমাদের শিখিয়েছেন। সঠিক নিয়ম পদ্ধতি তারা জানতেন ও পালন করতেন আর আমরা তাদের ই অনুকরন করি। তারা ছিলেন অনেক বড় মাপের ওলী-আউলিয়া। তাইতো হযরত শাহজালাল জায়নামাজে করে 360 জন আউলিয়াকে নিয়ে শুরমা নদী পার হয়েছেন, বখতিয়ার খিলজী একাই ঘোড়া নিয়ে লক্ষণ সেনের রাজ্যে আঘাত হানেন। তাদের আমল, ইবাদাত কি আজকের নতুন ফতুয়াদেওয়া সংস্কারপন্থীদের মত আমল, ইবাদাত ছিল? তারা এই হিন্দু দেশকে মুুসলমান বানিয়েছেন, হিন্দুয়ানি সভ্যতার স্থলে মুসলমানি সভ্যতা সৃষ্টি করেছেন। তারা কত বড় জ্ঞানী ও পরহেজগারী ব্যক্তি হলে এসব সম্ভব হয়েছে?
আজকে দুঃখ হয় যে নতুন কাওমী, আহলে হাদীশ সহ নানা ব্যানারে বলতেছে আমরা বেদায়াতী কাজ করেছি। আজকে এই আধুনিক মুসলিমদের কথা এত জ্ঞানী যে মনে হয় যারা এদেশে ইসলাম এনেছে, প্রচার করেছে তাদের চেয়ে জ্ঞানী। গল্পটা এভাবে বলা যায় সন্তান বাপকে বলে ‘তুমি কে’?
যার ভিতর ইসলামী ঐতিহ্য থাকবেনা সে দিন দিন ইসলাম ভূলতে থাকবে, যে আমলকারী লোকের কাছে না যাবে সে অনেক কিছুই জানতে পারবে কিন্তু আমলকারী ব্যক্তি হতে পারবে না। যে ছাত্র শিক্ষকের নিকট না যাবে সে ছাত্র সফল হতে পারবেনা। আজ সারা বিশ্বে ইসলামী শক্তি পরাজিত হচ্ছে। আর এই পরিনতি শুধু মুসলমানদের জন্যই। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল মুসলিম শক্তি। এই শক্তির সাথে সরাসরি জয়ী হতে পারবেনা বলেই শত্রু শক্তি মুসলমানদের ভিতর নানান চক্রান্তে অন্তকলহ সৃষ্টিকরে বিভক্ত করে ফেলছে। আর এই বিভক্ত খন্ডগুলোর একটি একটি করে তারা দখল করে নিয়েছে। আর মুসলিমরা নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার পথ থেকে সরে গিয়ে নিজেদের ভিতর নানান নতুন পন্থাযোগের মাধ্যমে গোষ্টিতে বিভক্ত হয়ে নিজেদের শক্তিকে ধুলিস্যাৎ করে ইসলামী শক্তিকে দূর্বল করছে। আর ইবলিশ শয়তান সবসময় আমাদের পেছনে লেগে থাকে কোন পদ্ধতিতে আমাদের শক্তিকে দূর্বল করাযায়। তাই নতুন আধনিক পন্থীদের ই কাজে লাগাচ্ছে।
যার ভিতর ইসলামী ঐতিহ্য থাকবেনা সে দিন দিন ইসলাম ভূলতে থাকবে, যে আমলকারী লোকের কাছে না যাবে সে অনেক কিছুই জানতে পারবে কিন্তু আমলকারী ব্যক্তি হতে পারবে না। যে ছাত্র শিক্ষকের নিকট না যাবে সে ছাত্র সফল হতে পারবেনা। আজ সারা বিশ্বে ইসলামী শক্তি পরাজিত হচ্ছে। আর এই পরিনতি শুধু মুসলমানদের জন্যই। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল মুসলিম শক্তি। এই শক্তির সাথে সরাসরি জয়ী হতে পারবেনা বলেই শত্রু শক্তি মুসলমানদের ভিতর নানান চক্রান্তে অন্তকলহ সৃষ্টিকরে বিভক্ত করে ফেলছে। আর এই বিভক্ত খন্ডগুলোর একটি একটি করে তারা দখল করে নিয়েছে। আর মুসলিমরা নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার পথ থেকে সরে গিয়ে নিজেদের ভিতর নানান নতুন পন্থাযোগের মাধ্যমে গোষ্টিতে বিভক্ত হয়ে নিজেদের শক্তিকে ধুলিস্যাৎ করে ইসলামী শক্তিকে দূর্বল করছে। আর ইবলিশ শয়তান সবসময় আমাদের পেছনে লেগে থাকে কোন পদ্ধতিতে আমাদের শক্তিকে দূর্বল করাযায়। তাই নতুন আধনিক পন্থীদের ই কাজে লাগাচ্ছে।